মালদা

সাথে যেতে অস্বীকার করায় প্রেমিকার গলা কেটে আত্মহননের চেষ্টা করল প্রেমিক

সাথে যেতে অস্বীকার করায় প্রেমিকার গলা কেটে আত্মহননের চেষ্টা করল প্রেমিক। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল গাজলের মাঝরা অঞ্চলের ঘাসিপাড়া এলাকায়। ঘটনায় গুরুতর আহত ওই প্রেমিক যুগল চিকিৎসাধীন হাসপাতালে।

জানা যায়, আহত ওই প্রেমিকের নাম দীপঙ্কর বিশ্বাস(২৩) । বাড়ি গাজোলের আলাল অঞ্চলের ময়না চম্পা দিঘী এলাকায়। পরিবার সুত্রে জানা যায়, মাঝরা অঞ্চলের ঘাসি পাড়ার ওই মেয়ে প্রায় নয় মাস আগে দিল্লিতে গিয়েছিল বাবা মায়ের কাছে। সেখানেই দীপঙ্করের সাথে তার পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অভিযোগ সেই সময় ওই মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল দীপঙ্কর। কিন্তু কোন এক কারণে মেয়ে ফিরে আসে বাবা মায়ের কাছে। এরপর গোটা পরিবার দিল্লি থেকে চলে আসে গাজোলে। কিন্তু পিছু ছাড়েনি দীপঙ্কর। দিন কয়েক আগে সে ও তার পরিবার চলে আসে গাজোলের আলাল অঞ্চলের ময়না চম্পাদিঘী এলাকায় নিজেদের বাড়িতে। সেই প্রেমের সুত্র ধরে মঙ্গলবার বিকেলে ঘাসিপাড়া এলাকায় মেয়েটির সাথে দেখা করতে যায় দীপঙ্কর। অভিযোগ সেই সময় মেয়েটিকে সঙ্গে যাওয়ার জন্য জোর করে ওই যুবক। কিন্তু মেয়েটি যেতে রাজী না হওয়ায় হঠাৎ করে ধারাল অস্ত্র নিয়ে চরাও হয়। এরপর মেয়েটির গলা কেটে দেওয়ার পর নিজের গলা কেটে আত্মহননের চেষ্টা করে দীপঙ্কর বলে অভিযোগ। এরপর মেয়েটির চিৎকারে ছুটে আসেন এলাকার মানুষজন। আহত দুইজনকে উদ্ধার করে গাজল গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে মেয়েটির অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসকরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রেমিক প্রেমিকা দুজনেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এই ঘটনায় ছেলের মা জানান, ওরা দুজনে প্রায় নয় মাস ধরে প্রেম করত। এরই মধ্যে মেয়েটিকে তার বাবা জোর করে গাজোলে চলে আসে। যার ফলে ছেলে ওই মেয়ের প্রেমে পাগল হয়ে এখানে চলে আসে। কিন্তু কি কারণে এই ঘটনা ঘটলা তা তিনি বলতে পারেননি।

এদিকে এই ঘটনায় মেয়ের ঠাকুরমা জানান, এদিন ওই মেয়ে বাড়ির বাইরে বসে ছিল। এমন সময় সন্ধ্যে নাগাদ মেয়ের মা চিৎকার করতে শুরু করে। দেখি গলা দিয়ে রক্ত ঝরছে। এরপর তাকে উদ্ধার করে গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে ঠিক কি কারণে এই ঘটনা ঘটল তিনিও সঠিক বলতে পারেননি।